মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে শীর্ষ সন্ত্রাসী শ্যুটার মান্নান নিহত

0 ১১
মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে শীর্ষ সন্ত্রাসী শ্যুটার মান্নান নিহত
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি :
Jul 31, 2025 at 17:01
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় লালু-পিয়াস গ্রুপের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের গুলিতে শীর্ষ সন্ত্রাসী শ্যুটার মান্নান নিহত হয়েছে। সেই সাথে একই ঘটনায় হৃদয় ওরফে বাঘা সহ একাধিক সন্ত্রাসীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীর একটি অবৈধ বালুমহালের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে উপজেলার কালীপুরা সংলগ্ন নদীতে এই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন লালু গ্রুপের সক্রিয় সদস্য আব্দুল মান্নান ওরফে ‘শ্যুটার মান্নান’ (৩৮)। এ সময় হৃদয় বাঘা (২৭) সহ উভয় পক্ষের একাধিক ব্যক্তি আহত হন।
গজারিয়া নৌ-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম খান সাংবাদিকদের জানান, প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত শ্যুটার মান্নানের মরদেহ মেঘনা নদীতে ভাসমান একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরণে ছিল লুঙ্গি ও গায়ে ছিল নীল রঙের পলো শার্ট।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ও ইমামপুর ইউনিয়ন সংলগ্ন মেঘনা নদীর একটি অবৈধ বালুমহালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস গ্রুপের সাথে ইমামপুর ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লালু গ্রুপের দ্বন্ধ চলে আসছিল। (বা:বা:প্র)
ঘটনার দিন ২৮ জুলাই সোমবার ভোরে লালু গ্রুপ নয়ন-পিয়াস গ্রুপকে নদীতে আক্রমণের উদ্দেশ্যে ধাওয়া করে। তখন প্রতিপক্ষ গ্রুপ কিছুটা পিছু হটে।
তবে সকাল ৮টার দিকে নয়ন-পিয়াস গ্রুপ শক্তি সঞ্চয় করে একাধিক ইঞ্জিনচালিত ট্রলারযোগে পাল্টা হামলা চালায়। ওই হামলার সময় শ্যুটার মান্নান গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন হৃদয় বাঘা সহ লালু গ্রুপের আরও কয়েকজন।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, “ঘটনার পরপরই নৌ-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষ আইন গত ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।”
নিহত শ্যুটার মান্নান গজারিয়া উপজেলার জষ্ঠীতলা গ্রামের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ এর ছেলে এবং তিনি সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন। এর আগে গত ১৮ জুলাই বাঘাইয়াকান্দী মাছ বাজারে শর্টগান দিয়ে গুলি চালিয়ে এক মাছ ব্যবসায়ীসহ অন্তত চারজনকে আহত করে পালিয়ে যায় মান্নান। সেই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সে পলাতক ছিল বলেও জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
এই সংঘর্ষ ও খুনের ঘটনায় কালীপুরা ও আশপাশের এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, নদীভিত্তিক অবৈধ বালু উত্তোলন ও সন্ত্রাসীদের আধিপত্য বিস্তারের জেরে গজারিয়ায় প্রতিনিয়ত এমন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
Leave A Reply

Your email address will not be published.