ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩০জন শিক্ষার্থী অসুস্থ
ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩০জন শিক্ষার্থী অসুস্থ
Dhaka post today
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
গত কয়েকদিনের তীব্র গরমে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩০জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছে।
সকাল ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও দশম শ্রেণীর প্রায় ৩০ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পরলে তাদেরকে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইজিবাইকে করে আনা হয়। মাথায় পানি ঢালার পর ১৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে যায় বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সপ্তম শ্রেণীর আছিয়া, সপ্তম শ্রেণীর
নুসরাত, সপ্তম শ্রেণীর আয়শা, সপ্তম শ্রেণীর তোরাভদ্র, অষ্টম শ্রেণীর স্পা, সপ্তম শ্রেণীর নাফিজা, সপ্তম শ্রেণীর সাদিয়া, সপ্তম শ্রেণীর কবিতা, সপ্তম শ্রেণীর মনিকা, ষষ্ঠ শ্রেণি হাফছা আক্তার, সপ্তম শ্রেণীর ফাতেমা, সপ্তম শ্রেণীর মিথিলা ও নবম শ্রেণীর তানজিম আক্তার সানজিদা।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এতো গরমে মানুষ যেখানে টিকতে পারে না, সেখানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অ্যাসেম্বলি করার কি প্রয়োজন ছিল।
অসুস্থ শিক্ষার্থী নাফিজা আক্তারের বাবা গিয়াস উদ্দিন জানান, আমরা নিজেরাই গরমে ঘরে থাকতে পারিনা অথচ সমাবেশ করার জন্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঠে নিয়েছে।
কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আমিন বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি দৈনিক সভ্যতার আলোকে বলেন, গরমে আমাদের স্কুলে প্রতিটি ক্লাশেই শ্রেনী শিক্ষক দিয়ে পিটি করানো হয় কিন্তু রবিবার সিরাজদিখান থানা পুলিশের একজন অফিসার শিক্ষার্থীদের ক্লাশের বাহিরে নিয়ে ইপটিজিং, মাদক বিরোধী কথা বলার জন্য ছাত্র, ছাত্রীদের বাহিরে নিয়ে গেলে কিছু ছাত্রী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জসিম বলেন, ছাত্রীরা সবাই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে। অত্যধিক গরমে তারা অসুস্থ হয়ে পরে। তিনি বলেন, অসুস্থদের স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঠাণ্ডা পানি ও তরল খাবার দেওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.আঞ্জুমান আরা বলেন, আমার এখানে ভবানীপুর বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি আছে। বর্তমানে তাদের অবস্থা ভালো আছে। আশা করছি সবাই দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠবে। বিদ্যালয়ে থাকাকালে শিক্ষার্থীদের ঘনঘন পানি খাওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।
সিরাজদিখান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ভূইয়া জানান, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসুস্থতার ঘটনা আমাকে জানিয়েছে, অনেক শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত জানান, ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিদিন প্রাত্যহিক সমাবেশ (পিটি) হয়। আজ রবিবার পিটি চলাকালিন সময় আমাদের কাজের অংশ হিসেবে সিরাজদিখান থানার এ এস আই কামরুল ইসলাম উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের পিতা মাতার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, মোবাইল ব্যবহারে সতর্কতা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনা এ সব বিষয় নিয়ে ৪ থেকে ৫ মিনিট অলোচনা করেন। এ সময় কিছু শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও জৈনসার ইউপি চেয়্যারম্যান রফিকুল ইসলাম দুদু বলেন, সিরাজদিখান থানার কামরুল ইসলাম নামে একজন অফিসার আমাদের বিদ্যালয়ে এসে সচেতনামুলক কথা বলার জন্য শিক্ষার্থীদের মাঠে বের করে ছিলেন, ওই সময়তেই শিক্ষার্থীরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে।