ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা করতে বিভিন্ন কৌশল

0 ১৭৪

ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা করতে বিভিন্ন কৌশল

 

লৌহজংয়ে ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা করতে বিভিন্ন কৌশল

Dhaka post today
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:

মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজংয়ের ইউপি মেম্বার ইকবাল শিকদারের বিরুদ্ধে গত ইং ৬/৫/২০২৩ তাং সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া যায়। এর পরে আমাদের প্রতিবেদক মোঃ বাদল ও দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকার প্রতিনিধি মোঃ মতিউর রহমান
রিয়াদ সহ সাপ্তাহিক বাংলা সাথী পত্রিকার

লৌহজংয়ের ফটো সংবাদিক মোঃ কাইয়ুম একত্রিত হয়ে লৌহজং উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইকবাল সিকদার এর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর করা অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে তথ্যের সত্যতা প্রমাণিত হয়। যার ১৪টি বিভিন্ন জাতের কাঠ গাছ রাস্তার কাজ করার সময় ব্যবহৃত বুলডোজারের ধাক্কায় ভেঙে যায়।

আর বাকি গাছ গুলো মেম্বারের নির্দেশে গাছের মালিকরা কেটে নিয়ে যায়। এরপর আমরা মেম্বার ইকবাল সিকদারের সাথে গাঁওদিয়া উপজেলা অফিসে গিয়ে সরকারি গাছ কাটা ও রাস্তা বাঁধাই করতে পাশের আবাদি জমির মাটি খোদাই করার ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে।

তিনি আমাদের জানান পশ্চিম বুরুদিয়া গ্রামের সরদার বাড়ী হইতে রাজ্জাক শেখের বাড়ি পর্যন্ত চলাচলের রাস্তা বর্ষা মৌসুমে পানিতে ডুবে যায়। যার ফলে কাঁচা রাস্তাটি সংস্কার করতে গাঁওদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সংস্কারের দায়িত্ব পান এলাকার মেম্বার ইকবাল সিকদার। অর্ধশতাধিক গাছের কিছু অংশ গাছের মালিক কেটে নেয় আর বাকী কিছু গাছ ভ্যাকু দিয়ে মাটি তোলার সময় ভেঙ্গে যায়।

যার প্রমাণ পরিদর্শনকালে ছবি ও ভিডিও রেকর্ড সংরক্ষিত সেখানে দেখা যায় গাছ গোড়া থেকে না কেটে মাঝামাঝি ভেঙে ফেলা হয়েছে। রাস্তার পাশের কৃষিজমি থেকে অপরিকল্পিতভাবে মাটি তুলে রাস্তা সংস্কারে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি জমি ও গাছ কাটার বিষয়ে জানাতে চাইলে। ঝরনা বেগম বলেন গাছ কাটার ব্যাপারে কোন আপত্তি না থাকলেও, রাস্তার পাশের আবাদি জমি থেকে মাটি খোদাই করা কাজ হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান ইকবাল শিকদার ওরফে ইকবাল মেম্বার এর স্বেচ্ছাচারিতা হচ্ছে যখন যা খুশি করে থাকেন যদি তার বিরুদ্ধে গ্রামের কোন সাধারণ মানুষ কথা বলে অথবা তার অনিয়মের প্রতিবাদ করে তবে তার বড় ভাই শাহাদাত সিকদার নেতৃত্বে এলাকার উঠতি বয়সী ছেলেদের দিয়ে মারধর ও মিথ্যা মামলায় জরিয়ে আসামী করা সহ বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার করেন।

এছাড়াও ইকবাল মেম্বার এবং তার বড় ভাই শাহাদাত হোসেন সূত্রে আরো যানা তাদের নেতৃত্বে শাহীন কালু, চান্দু সহ আরো কয়েকজনকে দিয়ে কাজকর্ম করিয়ে থাকেন। গণমাধ্যমকর্মীরা সরোজমিনে অনুসন্ধানে গেলে, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছেন বলেও জানা যায়।

এছাড়াও পূর্ব বুরুদিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাপ্তাহিক বাংলার সাথী পত্রিকার ফটো সাংবাদিক মোঃ কাইয়ুমের বসবাসের বাড়ি থেকে উৎখাতের চেষ্টায় বাড়িওয়ালা দিয়ে ঘর ছাড়া নোটিশ এবং শাহাদাত সিকদারের সন্ত্রাসী লোকজন দিয়ে সাংবাদিক কাইয়ুমের স্ত্রী কে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়।

প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কেন গাছ কাটলেন প্রশ্নের জবাবে ইউপি সদস্য ইকবাল সিকদার বলেন, জনস্বার্থে রাস্তা নির্মাণ করেছি। তবে গাছ কাটার বিষয় ও অপরিকল্পিতভাবে কৃষিজমির মাটি কাটার ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি এবং গণমাধ্যম কর্মীকে বাড়ি থেকে উৎখাত ও হুমকি-ধামকির বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।

পারে অনুমতি ছাড়া সরকারি রাস্তার পাশের গাছ কাটা প্রসঙ্গে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. সেলিম খান এর কথা বললে তিনি বলেন লোক পাঠিয়ে খোঁজ নিবো। ঘটনার সত্যতা প্রমাণ পাওয়া গেলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর গত ৬ জুন দিগন্ত প্রতিদিন পোটালে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়। যার সত্যতা গোপন করতে ইকবাল মেম্বার লৌহজংয়ের স্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রতিবাদ প্রকাশ করেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.