ভুয়া সংগঠন তৈরি করে কিছু অসাধু ব্যক্তি বা অবৈধ সংগঠন

0 ১০৫

 ভুয়া সংগঠন তৈরি করে কিছু অসাধু ব্যক্তি বা অবৈধ সংগঠন

dhaka post today

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নামের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ নাম ব্যবহার করে ভুয়া সংগঠন তৈরি করে কিছু অসাধু ব্যক্তি বা অবৈধ সংগঠন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় ভোক্তা অধিকারের কাছাকাছি নামে ভুয়া সংগঠনের বিষয়ে সতর্ক করছে অধিদপ্তর।

রোববার (১১ জুন) এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের পক্ষ থেকে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নামের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ নাম ব্যবহার করে ভুয়া সংগঠন তৈরি করে কিছু অসাধু ব্যক্তি বা অবৈধ সংগঠন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এ ধরনের অবৈধ সংগঠন থেকে মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে শুনানিতে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হচ্ছে এবং বিভিন্ন উপায়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ দাবি করা হচ্ছে। এ ধরনের প্রতারণামূলক, হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড প্রচলিত আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণে যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা রোধে বদ্ধপরিকর। এ ধরনের অবৈধ সংগঠন, প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো পত্র যোগাযোগ বা টেলিফোনিক যোগাযোগে সাড়া না দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা যাচ্ছে। একইসঙ্গে অসাধু কোনো ব্যক্তি বা অবৈধ প্রতিষ্ঠানের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে বিভ্রান্ত না হয়ে আইনি সহায়তা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হলো। প্রয়োজনে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় কার্যালয়, জেলা কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ এবং এ সংক্রান্ত তথ্য জানাতে অধিদপ্তরের ভোক্তা বাতায়ন হটলাইন ১৬১২১-এ কল করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধে ও ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী প্রতিনিয়ত বাজার তদারকি, অভিযোগ নিষ্পত্তি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বর্ণিত কার্যক্রমে জেলা প্রশাসনও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করছে। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯’ বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত।

 

 

ভোক্তা অধিকার অধিদফতর

Leave A Reply

Your email address will not be published.