শীতলক্ষ্যায় নিখোঁজের ২০ ঘন্টা পর, ২ কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

0 ৭১

শীতলক্ষ্যায় নিখোঁজের ২০ ঘন্টা পর, ২ কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

নরসিংদীর পলাশের দুই স্কুল ছাত্রী শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল করতে নেমে পানির স্রোতে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ২০ ঘন্টা পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

শুক্রবার (৫ মে) সকাল সৌয়া ৯টায় শিবপুর উপজেলার লাখপুর এলাকার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ইয়াছমিন আক্তার এবং এর দেড় ঘন্টা পর সকাল ১১টায় ইমা আক্তারের লা‍‍`শ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এটি নিশ্চিত করেছেন পলাশ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সাদেকুল বারি।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে নদীতে গোসল করতে নেমে পানির স্রোতে তলিয়ে নিখোঁজ হয় এই দুই স্কুল ছাত্রী।

নিহত ইয়াছমিন আক্তার (১৫) পলাশ উপজেলার ভাগপাড়া গ্রামের আব্দুল রহিম মিয়ার মেয়ে ও ইমা আক্তার (১৬) একই গ্রামের ইকবাল হোসেনের মেয়ে। ইমা পলাশ কো-অপারেটিভ স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও ইয়াছমিন বাংগালপাড়া স্কুলের শিক্ষার্থী।

ফায়ার সার্ভিস ও নিখোঁজের পরিবারের সদস্যরা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার দিকে ইমা তার খালা ইয়াছমিন ও চাচাতো বোন সাদিয়াকে নিয়ে লাখপুর খেয়া ঘাটের পাশে শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসলে নামে। এক পর্যায় তাদের মধ্যে সাদিয়া নদী থেকে গোসল শেষে ঘাটে উঠতে পারলেও ইয়াছমিন ও ইমা নদীর স্রোতে পানিতে তলিয়ে যায়।

পরে সাদিয়া বাড়িতে গিয়ে তাদের পানিতে ডুবে যাওয়ার বিষয়টি জানালে পরিবারের লোকজন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে পলাশ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে। এসময় স্থানীয়রাও নৌকা দিয়ে জালের মাধ্যমে তাদের খোঁজা শুরু করে।

পরে খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবরীদল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ চালায়। তারা সন্ধা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও মরদেহের কোন খোঁজ পায়নি।

এদিকে আজ শুক্রবার সকালে আবারও তারা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। প্রথমে নদী থেকে ইয়াছমিনের লাশ উদ্ধার করে এর দেড় ঘন্টা পর ইমার লাশও উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পলাশ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার সাদেকুল বারি বলেন, দুইজন স্কুল ছাত্রীরই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা এখনো ঘটনাস্থলে কাজ করছি। পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলেই আছে। আমরা মরদেহগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করে দিবো।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.