টিপু-প্রীতি হত্যা: কাউন্সিলর মারুফ কারাগারে

0 ৪৫

টিপু-প্রীতি হত্যা: কাউন্সিলর মারুফ কারাগারে

dhaka post today

এম রাসেল সরকার:

রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজ ছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ মনসুরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। সেই আবেদন নামঞ্জুর করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

সিএমএম আদালতে শাহজাহানপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে ২০ জুন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী প্রীতি হত্যা মামলায় ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। একইসঙ্গে মামলায় পলাতক দুই আওয়ামী লীগ নেতাসহ নয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা তিন আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মারুফ আহমেদ মনসুর, আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহম্মেদ মন্টু, ফ্রিডম মানিক ওরফে জাফর, প্রধান সমন্বয়কারী সুমন সিকদার মুসা, শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ, শামীম হোসাইন, তৌফিক হাসান ওরফে বিডি বাবু, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মারুফ রেজা সাগর, ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরিফুর রহমান ওরফে ‘ঘাতক’ সোহেল, মতিঝিল থানা জাতীয় পার্টির নেতা জুবের আলম খান রবিন, হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল শাহরিয়ার, মাহবুবুর রহমান টিটু, নাসির উদ্দিন মানিক, মশিউর রহমান ইকরাম, ইয়াসির আরাফাত সৈকত, আবুল হোসেন মোহাম্মদ আরফান উল্লাহ ইমাম খান, সেকান্দার শিকদার আকাশ, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম মাতবর, আবু সালেহ শিকদার, কিলার নাসির, ওমর ফারুক, মোহাম্মদ মারুফ খান, ইশতিয়াক আহম্মেদ জিতু, ইমরান হোসেন জিতু, রাকিবুর রহমান রাকিব, মোরশেদুল আলম পলাশ, রিফাত হোসেন, সোহেল রানা, ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল, সামসুল হায়দার উচ্ছল ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল।

 

এদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মারুফ আহমেদ মনসুর, ফ্রিডম মানিক, সন্ত্রাসী জিসান, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আমিনুল, ১১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল, সোহেল রানা মোল্লা, রিফাত হোসেন ও শামসুল হায়দার উচ্ছল পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আসামি মশিউর রহমান ইকরাম, আরিফুর রহমান সোহেল, তৌফিক হাসানের জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

রাকিব ও মোরশেদুল আলমের জামিন বহাল রেখেছেন আদালত। ৫ জুন ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার। যদিও তদন্তে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এক্সেল সোহেল নামে এক আসামির পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা পাওয়া যায়নি। তাকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। গত বছর ২৪ মার্চ রাত পৌনে ১০টার দিকে মতিঝিল এজিবি কলোনি কাঁচা বাজার সংলগ্ন রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় ফেরার পথে শাজাহানপুর আমতলা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন টিপু এবং প্রীতি। টিপুর গাড়িচালক গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.