৭৫ এর বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৮১ সালে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছিল খুনিরা

0 ৩৯

৭৫ এর বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৮১ সালে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছিল খুনিরা

 

dhaka post today

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৭৫ এর বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ৮১ সালে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছিল খুনিরা। হত্যা, হত্যা ডেকে আনে। জিয়াউর রহমান নিজেও বাঁচতে পারেনি। যে বুলেট শেখ হাসিনা-শেখ রেহানাকে এতিম করেছে, সেই বুলেটই খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে।

সোমবার (২৮ আগস্ট) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ আয়োজিত উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের বলেন, মঈন খান বলে তারেক রহমানকে আওয়ামী লীগ সরকার ভয় পায়। তিনি এত সাহসী মানুষ মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে গেল লন্ডনে। সে বলে গেল রাজনীতি আর করবে না। এখন আন্দোলনের ডাক দেয় রিমোট কন্ট্রোল হিসেবে। মনে করে তার ডাকে বঙ্গোপসাগরের সব জল ঢাকা শহর গ্রাস করবে। এত সোজা না।

তিনি বলেন, রিমোট কন্ট্রোলে লন্ডন থেকে একজন দণ্ডিত আসামি ফরমাশ দিলো আন্দোলনের। আর বাংলাদেশের সব মানুষ সেই আন্দোলনে এসে যোগ দেবে। ১০ তারিখে দেশ চালাবে খালেদা জিয়া, ১১ তারিখে তারেক রহমান আসবে দেশে, বলেছিল না। সেই আন্দোলনের কি হলো- ১০ তারিখ নাই, ১১ নাই। এদিকে একবার দেখেছি ৫৪ দল, আবার দেখি ৩২ দল, আবার দেখি ৩৭ দল। একবার দেখি ২৭ দফা আবার দেখি ১০ দফা আর সর্বশেষ এক দফা। কি হলো, পল্টন থেকে গোলাপবাগের গরুর হাটে হোঁচট খেল। সেই যে হোঁচট খেলো, সেই আন্দোলনের আর খবর নেই। জনগণ যে আন্দোলনে নেই, সে আন্দোলন পৃথিবীর কোথাও সফল হয় না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবিস্মরণীয় যে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গেছে এর সঙ্গে রয়েছে আমাদের প্রকৌশলীরা। এজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। অনেক মেধাবী প্রকৌশলী বাংলাদেশে আছে। আজকে ৪ লেন, ৬ লেন, ৮ লেন, ১০০ সেতু একদিনে উদ্বোধন- এগুলোতো ইঞ্জিনিয়ারদের গল্প।

অহেতুক সময় নষ্ট না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের হাতে সময় খুব কম। অনেক কাজ কিন্তু সময় আছে তিন থেকে সাড়ে তিন মাস। এর মধ্যে আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। অনেক অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, আজকে বিএনপি নেতারা দল বেধে গেছে সিঙ্গাপুরে। আবার শুনেছি জাতীয় পার্টিরও এক গ্রুপ গেছে। ভালো, আলাপ-আলোচনা করুক। রাজনৈতিক আলোচনা দেশে হোক, বিদেশে হোক তারা করবে, এটা তাদের নৈতিক অধিকার। রাজনীতি করেন, তবে দয়া করে ষড়যন্ত্র করবেন না। রাজনীতি করেন, কিন্তু দয়া করে সন্ত্রাস করবেন না। রাজনীতি করেন কিন্তু ১৩-১৪ সালের মতো আগুন দিয়ে বাস পোড়ানো, মানুষ পোড়ানো, রাস্তা পোড়ানো এই রাজনীতি থেকে বিরত থাকবেন।

ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আবার যদি ক্ষমতায় আসতে পারে, তবে তারা গণতন্ত্র গিলে খাবে। আবার যদি আসতে পারে, তারা রক্তের বন্যা বইয়ে দিবে। কোন ভালো মানুষ বাঁচতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোন অস্তিত্ব তারা রাখবে না। নিশ্চিহ্ন করে দেবে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে। এই বিএনপি জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তাদের হাতে ক্ষমতা গেলে এই দেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়।

আইইবির প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন আইইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস. এম. মনজুরুল হক মঞ্জু, আইইবির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুল হুদা, আইইবির ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, আইইবির ঢাকা সেন্টারের সাবেক চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মনোয়ার হোসেন।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.