তিন মাস পর জানা গেল স্ত্রী রিনি খাতুনই রবিউল এর হত্যাকারী
ঘটনার তিন মাস পর জানা গেল স্ত্রী রিনি খাতুনই রবিউল এর হত্যাকারী
নিজস্ব সংবাদদাতা:
নিহত রবিউল(৫০) এর স্ত্রী তিন সন্তানের জননী রিনি খাতুন (৪১) কে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়া ও তার সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য রবিউলের সাথে শিপনের বিরোধ ছিল। উক্ত বিরোধের জের ধরে ঘটনার দিন ১৯/০৬/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় আসামী শিপন রবিউলের ঘরে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রবিউলকে মাথার ডান পাশে একাধিক কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করে। তখন রবিউলের স্ত্রী ঘুম থেকে জেগে উঠে আসামী শিপনকে তার স্বামীকে কোপানোর কারন জিজ্ঞাসা করলে আসামী শিপন ডিসিস্টের স্ত্রী রিনি খাতুনকে খুন জখমের ভয় দেখিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে । পরবর্তীতে রবিউলকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথে একই তারিখ সকাল অনুমান ৬.৩০ ঘটিকার সময় রবিউল মৃত্যুবরন করে মর্মে উল্লেখ করে রবিউলের ভাই ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে শিপনকে আসামীভুক্ত করে মিরপুর থানার মামলা নং-৩০,তারিখ-২০/০৬/২০২৩ ইং,
ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড,জিআর-২০২/২০২৩ দায়ের করেন
অ্যাডিশনাল আইজিপি জনাব বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক পুলিশ সুপার পিবিআই কুষ্টিয়া জনাব মোঃ শহীদ আবু সরোয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পিবিআই কুষ্টিয়া এর পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ মনিরুজ্জামান তদন্তভার গ্রহণের ১০ দিনের মধ্যেই মূল রহস্য উৎঘাটন করলো পিবিআই কুষ্টিয়া । পিবিআই কুষ্টিয়া এর অভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে আসামী রিনি খাতুনকে ২৬/০৯/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ দুপুর ১৩:৩০ ঘটিকার সময় কুষ্টিয়া সদর থানাধীন কুমারগাড়া এলাকা হতে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে রিনি খাতুন জানায় যে, তার স্বামী রবিউল স্থানীয় একাধিক এনজিও হতে ৫লক্ষ টাকা ঋণ নেয়। কিন্তু নিয়মিত কিস্তির টাকা জোগাড় করতে না পেরে রবিউল টাকা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী রিনি খাতুনকে টাকার বিনিময়ে প্রতিবেশী ভাতিজা শিপন এর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করে।
দীর্ঘ কুড়ি বছর এভাবে চলার পর তিন বছর পূর্বে রিনি খাতুনের একটি জটিল অপারেশন হয়। আপারেশন এর পর হতে রিনি খাতুন শিপনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে অস্বীকার করে। কিন্তু রবিউল তার স্ত্রীর আপত্তি অগ্রাহ্য করে নিয়মিত শিপনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করতে থাকে ।
এতে করে স্বামী রবিউলের উপর রিনির রাগ ও ক্ষোভ বাড়তে থাকে।উক্ত ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে ঘটনার রাতে রিনি তার ঘুমন্ত স্বামী রবিউলকে শাবল দিয়ে মাথায় পরপর চারটি আঘাত করে গুরুতর জখম করে। গুরুতর আহত রবিউলকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। রিনি খাতুনের দেখানো মতে অদ্য ২৭/০৯/২৩ খিঃ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ৪০ইঞ্চি লম্বা লোহার শাবল সাক্ষীর উপস্থিতিতে ঝোপের ভিতর হতে পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।এই বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদানের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।