অনুমতি ছাড়াই রাজপথ দখল করে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হবে

0 ৪৩

অনুমতি ছাড়াই রাজপথ দখল করে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হবে

 

সাভার প্রতিনিধি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী কর্মসূচিতে কোনো অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। অনুমতি ছাড়াই রাজপথ দখল করে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরকার পতনের ১ দফা দাবিতে ঢাকা জেলা বিএনপির পূর্বঘোষিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেল ৩টার দিকে তিনি সাভারের আমিনবাজার এলাকায় মিরপুর মফিদ-ই আম স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠের সমাবেশে যোগ দেন।

আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, স্বৈরাচারের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রতিপক্ষকে হত্যা করা, গুম করা, জেলে পাঠানো। আমরা দেখেছি তারা কত লোককে হত্যা করেছে, গুম করেছে। আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানোর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে এই সরকার স্বৈরাচার। তারা জানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাহিরে থাকলে এই স্বৈরাচার, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হবে না।

তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টের আরেকটি চরিত্র হচ্ছে  মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা। যাতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মতো করে দেশটা দখল করে বসে থাকতে পারে। আজ তারা বিচার বিভাগকে দখল করেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দখল করেছে, সরকারি কর্মকর্তাদের দখল করেছে।

আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে নিয়ে কী করেছে আজকে সেটি জানা আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থা এমন জায়গায় এসে পৌঁছার কারণ কী? একটা প্রশ্ন কিন্তু আজকে জেগেছে। তাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না কেন? তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হলে জেলে রাখার সময় তাকে কোনো স্লো পয়জনিং করা হয়েছে কিনা বেড়িয়ে আসবে।

তিনি বলেন, ২৫ তারিখে এখানে সভা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি। পুলিশ আগের রাতে এখানকার যেই মঞ্চ তা ভেঙে দিয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ছিল, যুবলীগ ছিল, জয়েন্ট অপারেশন। আমি একটা কথা বলতে চাই, আজকে বাংলাদেশের বাহিরে সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। আগামী নির্বাচন চুরি করার পথে যারা হাত বাড়াবে, তারা কেউই রেহাই পাবে না।

আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, সরকার বাহিরে অনেক সাহসী, ভেতরে কিন্তু এত সাহসী না। ভেতরে সাহস থাকলে তারা ওয়াশিংটনে, জাতিসংঘে কাজ শেষ হয়ে গেছে, বক্তব্য শেষ হয়ে গেছে, বিশ্বের সব নেতারা চলে গেছে, কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটনে বসে আছেন। অবস্থা বোঝেন কত খারাপ। কত খারাপ হইলে সেলফি তুলেও কাজ হচ্ছে না। সেলফি তুলে কতদিন একটু ফুরফুরে মেজাজে ছিল। এরা যে ভুয়া তা সারা বিশ্ব বুঝে গেছে। নাহলে সব প্রধানমন্ত্রী চলে গেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেখানে বসে বসে কি কাজ করছেন? এখনো চেষ্টা চালাচ্ছেন হাতে পায়ে ধরে কিছু করা যায় কিনা। কিন্তু কোনো কাজ হবে না।

তিনি বলেন, পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, পদত্যাগ করতে হবে, নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য, অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচন করতে হবে। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার হবে, সংসদ হবে। তারা জনগণের কাছে দায়ী থাকবে, জবাবদিহি থাকবে। তার আগে কোনো রক্ষা নেই।

সমাবেশে ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সাংসদ ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমিসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.